অনেক দিন পরে তার মুখোমুখি হলাম,
মোটা জুলপি,চোখ আগের থেকে অনেক বেশী উজ্জল
কপালে বলিরেখা স্পষ্ট ,চামড়া ঈষৎ শিথিল ,
যতটুকু জানি , ও তো নিয়মিত যোগাভ্যাস করতো।
অনেক দিন পরে তার সাথে কথা হল,
ও এখন বেশী নৈশব্দঃতেই উত্তর দেয়
সকালের শীতার্ত বুনোপথ ,শেষ বিকেলের একাকী বক আল পথ ঘিরে ঠায় দাঁড়িয়ে,
সবে সাঞ্ঝবাতি জ্বালানো ঝোপ জোনাকির পাশ কাটিয়ে হিমেল অন্ধকারের উকি ঝুকি, এ সব কিছুই তার চোখের গভীরে আঁকা ছিল।
ফেলে আসা গল্প গাথা, প্রেম , অপ্রেম সব কিছুই ঘুরপাক খাচ্ছিল ওর অব্যাক্ত চাহনিতে।
তার সেই সমাহিত শান্ত ঠোঁট দুটোতে শেষ বন্যতার কোন ছাপ খুজে পেলামনা।
অনেক দিন পরে আমরা দুজনে কিছুটা হেঁটে নিলাম।
চেনা অচেনা অনেক গন্ধ রঙ তাকে ছুয়ে যাচ্ছিলো , কেউ বা আলতো করে চুম্বন,
আবার কেউবা একটু এগিয়ে এসে, একটু সঙ্গে হেঁটে নিল , তার গায়ের সেই দুর্বার ওম পেতে,
প্রতিটি বাঁকই তাকে পেতে সোহাগ ভরে হাত বাড়িয়ে ছিল,
পায়ের নিচে ঝরা পাতাগুলো শব্দ করে নিজেদের টুকরো করছিল, ভাঙছিল , ছড়িয়ে যাচ্ছিলো প্রচণ্ড উদ্বেলিত , শিহরিত এক অভাবিত ভালবাসায়।
আর ও এক নির্মোক , নির্লিপ্ত চলমান স্মৃতি, চারিদিকে রকমারি রঙের আগুনকে উস্কে দিয়ে যাচ্ছিলো।
ওর এই নরম উষ্ণতা আমাদের ছাড়িয়ে শেষ বিকেলের আকাশে গোধূলির রঙ নিচ্ছিল।
আজ আমারও ওর সাথে আলাদা কোন কথা ছিলনা ,
ছিল শুধু আরও কিছু পথ নিঃশব্দ হেটে যাওয়া ,
যতক্ষন না সন্ধে নামে।