রাতের স্বপ্ন থেকে সরাসরি সে ঝাঁপ দিয়েছে বাস্তবের সকালে।
এক বহমান সকাল, এক সবুজ সকালের দিকে সাঁতার কাটছে সে সমানে।
পেরিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে জেগে ওঠা এক বাস্তবের সকালকে ।
ভোরের পাখীর মত চাক্ষুষ করেছে সে মাটির নীচে শেকড়ের রহস্য,
আর তার আলোকমালার নিঃশব্দ প্রতিসরণ।
অথচ মাটির উপর শুধুই সবুজের সমারোহ,
আর তাদের ঊর্ধ্ব বাহু হয়ে শুনতে থাকা অদৃশ্য হৃদয়ের স্পন্দন।
ভেসে যেতে চাওয়া শত আলোক বর্ষ দূরে সূর্যের কুহরে।
সময়ের সে এক আকুতি জ্বলে যেতে চাওয়ায় , পুড়ে যেতে চাওয়ার।
আর তারপর ই…।
তারপর ই মুহূর্ত থেমে যায়,
দাঁড়িয়ে পড়া পল অনুপল হটাতই ডানা মেলে দিগন্তের দিকে,
উড়তে থাকে নিঃসীমের দিকে , নীচের স্বচ্ছ , সুনীল জলরাশি ছুঁয়ে।
ঠোঁটের নীচে এখন শুধুই বিস্তীর্ণ জলরাশি,আর তার অতলে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে মেসোপটেমিয়ার বিস্মৃত কোন এক লয়,তাল,সুর ।
এ যেন দিনের প্রথম প্রহরের চেতনাতে বেঁচে থাকার স্বরলিপি,
এক রৌদ্রতপ্ত পাথরের মুঠোবন্দী হয়ে থাকার কাহিনী।
ছায়ার প্রলোভনে আটকে থাকা ক্লান্ত পথিক ,সবুজ ডালপালা ছাড়িয়ে দেখতে চাইছে ওপরের আকাশ,
মৃত্যুর আবর্ত কেটে সে এখন পরখ করবে জীবনকে,
আর সেই আলোকেই এবার তার কাঙ্ক্ষিত ধারাস্নান ।