‘উবের’ ‘ওলা’ রা ধীরে ধীরে গিলে ফেলছে কলকাতার গল্প গুলো,
কলকাতার কথক ঠাকুর সাদা কালো ট্যাক্সি গুলো এখন আর ইতিহাস বয়ে বেড়ায় না।
আভিমানী হয়ে ঘুরে বেড়ায় যাত্রী ছাড়াই ।
প্রশস্ত রাজপথে তাল মেলাতে পারেনা নতুন প্রযুক্তি আর বিলাসী চলমান জীবনে ।
নিজেদের শহরে নিজেরাই ব্রাত্য , অপাঙতেয়
শীতাতপ সুদর্শন গাড়ি গুলো কোন এক অদৃশ্য অন্তরজালে নিজেকে জড়িয়ে অক্লান্ত সেবাতে প্রলুব্ধ করেছে এই প্রজন্মকে ।
নবীন যাত্রী গম্ভীর , গল্পহীন ।
আর কোন এক অদৃশ্য বিপণি শক্তিতে আজকের যাত্রা , যান আর যাত্রি সবই সুনিয়ন্ত্রিত , যেখানে পুরনো ,ঢাউসগাড়িগুলো একবারেই অবাঞ্ছিত।
অথচ……
কত না কাহিনী সে বয়ে বেডিয়েছে সারা জীবন ।
নতুন প্রেম , প্রথম বহাল নাকি শেষ যাত্রা সবেতেই তো সে ছিল কলকাতার সাথে ।
এই শহরের সাথে তার বড় হওয়া পিঠোপিঠি।
রেড রোডের গাচের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নেওয়া ,ধর্মতলার মালসা ভরা ঘন দুধের চা । ভোরের কুমোরটুলিতে কচুরি জিলিপি।
সে এই শহরকে গড়তে দেখেছে , ভাঙতে দেখেছে ।
অশান্ত এই শহর , উত্তাল এই শহর , মিছিলে হাঁটা এই শহর , আলসেমিতে ভোগা এই শহর,
সুখ অসুখ এই শহরের সবই এত কাল বয়ে বেড়িয়েছে সে এতদিন ।
আজ তাই সে বিলাসী সুখী গাড়িগুলোকে দ্রুত গতিতে পেরিয়ে যেতে দেখে অকারণ অভিমানী ।