১) কাঁচের বয়ামে সরীসৃপেরা শান্ত , গতিহীন।
কোন এক এলোকেশী তার বারান্দায় নৈশব্দ কে মিলে রেখেছে একান্তে
মৃত্যুও এখানে শৃঙ্খলা বদ্ধ , নিয়মানুগ।
আর নীচে মাটির গভীরে আমার আন্তরাত্মা যেন এক ধূমকেতু, আমি টেরপাচ্ছি তার দুর্বার আর দুর্বিনীত বায়বীয় এক শব্দহীন নিঃসরণের ।
২) পথের শেষে এ এক নতুন পরাক্রম
অনেকটা পেয়াজের খোসার মত , একটার পর একটা মুখোশ , শিথিল, কিন্তু আবিরাম তার প্রকাশ।
৩) রঙ্গমঞ্চ গুলো ছেড়ে চলে গেছে সবাই , এখন রাত গভীর
কিছু শব্দতে কেউ আগুণ ধরিয়েছে সামনের দালানে ,
আর তার নরম আগুনে আঁচ পোয়াচ্ছে সেই অনুত্তর চিঠি গুলো
যেগুলোকে কেউ কোনদিন দিনের আলোতে দেখবেনা ।
৪) ফাঁসির আসামি যখন দেওয়ালে প্রথম হাতুড়ি মারে
আগুনে আকাশ পাক খেতে থাকে দ্রুত
কয়েদীদের ছন্দ আবার ফিরে আসে তাদের যে যার জীবন কুঠুরিতে
শোনা যায় পদধ্বনি সুর করে ।
ধূলোটে আর ধোঁয়াটে মাটির ওপর ভাঙ্গা দেয়ালে তখন ছোট্ট ছোট্ট আকাশ
আর তার মধ্যে থেকে উঁকি মারছে চাঁদের মত ভেঙ্গে ফেলা পাথর গুলো ।
৫) শহরে ঢোকার মুখেই ঘন ঘন ট্রাফিক সিগন্যালের মত
শবযাত্রা গুলো একের পর এক এগিয়ে এলো ।
সহস্র সহস্র মানুষ ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছায়াদের দেশে ,
দূরে কোথাও ফুটে উঠেছে এক অস্পষ্ট সাঁকোপথ
জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে ।
৬) এক বদ্ধ ঘরের অন্ধকার চৌকাঠ পেরিয়ে আমার পা।
সাদা কিছু জীবনের নথি পত্র দেখতে পাচ্ছি ,
অস্পষ্ট সব ছায়ারা সেখানে হুটোপুটি করছে নিজের নিজের সাক্ষর দেওয়ার জন্যে,
ততক্ষণে আমার আলোক স্নান সারা , আর সময়ের ভাজে আপাতত নিজেকে মুড়ে নিয়েছি আপাদমস্তক।