মৃত্যু তুমি কার? আমার না অপরের ?
ওপারের অন্ধকার আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে,
আর এপারের বেসাতি , পরিষেবা ,বিপণন জোর করে মেলে ধরে আমার শরীর।
প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের কাঠামোয় ।
সাহিত্য , কাব্য , উপন্যাসের শব্দ বিন্যাসে ওরা আমার মৃত্যুকে অমর করেছে ,
অপারেশন থিয়েটার , আই শি উ আর ভেন্টীলটরের আয়েশি ঠাণ্ডায় আমার মৃত্যু রাত জেগে থাকে তার প্রিয়জনের ফিসফিসানি আর খবরের কাগজের বিস্ময়ে ।
অথচ এমনটি হওয়ার কোন কথাই ছিলনা …
সেই যুবতী “কুইনিন” যেদিন কোমায় আছন্ন শরীরে মৃত্যুকে প্রথম প্রশ্ন করল ,
যেদিন চার্চের গোঁড়ামি আর চিকিৎসা শাস্ত্রের মধ্যে টেনে দিল সংঘাত রেখা, যখন কিনা জন্ম নিলো কিছু নতুন শব্দের উথেনেসিয়া , মারসিকিলিং , নিষ্কৃতি মৃত্যু …।
মৃত্যু আবার জন্ম নিলো বিজ্ঞ্বানের পাতায় ।
আজ তাই মৃত্যু তাই ভীষণ ভাবে জীবিত নতুন নতুন শব্দের শরীর নিয়ে ।
কিছুটা গবেষণার বই ,আর কতকটা বিচারের কাঠগড়ায় ,
আর অনেকটাই বিতর্কের প্রাজ্ঞ্তায়।
মৃত্যু আজ শব্দ আর শ্লাঘার মায়াজালে আবদ্ধ এক গভীর আলোচ্য বিষয়।
মৃত্যু আজ আজ সাদা পরিচ্ছদের আড়ালে উন্নাসিক চিকিৎসকের অনুগত ভৃত্য।
মৃত্যু আজ শুভাকাঙ্খী পরিজন আর চিকিৎসা বিজ্ঞ্বানীর মধ্যে এক সম্পাদিত চুক্তি
মৃত্যু আজ দুই পক্ষের এক অলিখিত সমঝোতা ………
মুমূর্ষু রোগী যেখানে একবারেই এক সাদামাটা তৃতীয় পক্ষ……