October , Lousie Gluck

(আবার  শীত এসেছে) ,

আনুবাদ ,পার্থ মিশ্র

আবার  শীত এসেছে

 এই ভয়ঙ্কর শৈত্যে আর কোন নিরাময় সম্ভব নয়

বসন্তের কোন বীজ সেখানে কোনোদিন বোনা যায়নি।

এই রাতেরও  অন্ত নেই

বরফ গলা জল এখনো এই সরু নর্দমা থেকে আমার  শরীরকে  ছেনে তোলেনি

এখনো আমি সুরক্ষিত বোধ করছিনা।

ক্ষতটা এখনো রয়ে গেছে । দাগ মুছে গেছে কবে

সন্ত্রাস আর শৈত্যের দেয়ালার মধ্যেই

উঠোনের বাগানের  নিষ্পেষিত মাটিতে শষ্য রোপণ হয়নি কোনোদিনও ।

আমি জানি সেদিনের  মাটির কান্না , যখন সার সার লালাভ কাঠিন্যে না ছিল কোন বীজ

না ছিলো দক্ষিনের দেয়ালে কোনো দ্রাক্ষা গুল্ম।

বাতাসের গোঙানি যখন বন্ধ্যা ক্ষেতের ওপর ছড়িয়ে পড়ছিল

তোমার আওয়াজ ছিল খুবই  অস্ফুট ।

কি লাভ ছিল সেই বাঙময়তাকে  ব্যাখ্যা  করে ?

আমায় বাক্রুদ্ধ করে রাখার সময় , ওই  সদ্যোজাত শব্দের  আর ব্যাখ্যা নাই বা চাইলে

সে তো সত্যি কোনোদিন তার কান্না থামাতে পারবেনা

এই  অন্তহীন রাতে এখনো পৃথিবী তার শষ্যক্ষেত্র নিয়ে সুরক্ষিত নয়

আর আমরা সব বীজ  বপনকারি   কৃষকের  দল,

 এই  পৃথিবীর কাছে কি আমাদের আর সত্যিই  কোন  প্রয়োজন নেই

The Plight of a Dying Pond

When The World pulls every stop  to check the climate  catastrophe Here is the Pond in Monikhola, Narayanpur, whose stake lies with nobody…..

The world is getting together in UN Climate Change Conference to be convened from 30 November to 12 December 2023 in Dubai, United Arab Emirates (UAE).to set forth with more resolve and resilience to make this world better and sustainable reinforcing stakeholdership (that is the theme this year). Its quite contextual to say the foci of discussion will be around mainly private(individual) and public (Govt)engagement to save the climate, save the earth and make it sustainable. And here is the story of one poor pond , water body,  the aquatic prime source  in the mainland Kolkata and how it is just put to an euthanasia(mercy killing) by such callous attitude of every stakeholders around it. It’s saga unheard of . When the whole world is at the brink of aquatic bankruptcy (when aquifer layer gets least charged but most discharged or drained out), we are here obliterating another beautiful big source very fast just not only disowning it but also destroying it very fast exploiting it’s a very precarious status of no-stake with anybody. And that cannot be better irony that when world is sitting together to emphasize on the stakeholders of a cohesive sustainable world , this pond , beautiful waterbody suddenly finds no stakeholder of it to protect it , preserve it. 

And it is about a big Pond just near the SRM road at entry of Manikhola , Narendranagar ,Naraynpur . The Pond is surrounded by the Flat Ideal Aabson at one side , one road towards Manikhola in other side , a few houses ,one thatched bamboo ridden hut  all these are immovable neighbors . But there are hundreds of passer by who commutes everyday on the road beside this big pond who might be its everyday movable cohabitants. Alas , nobody else just nobody else feels an iota of affinity towards the pond leave apart the ownership , literally and legally both which are equally true as well as tragic .

Legally because while investigating we came to know , the pond  by deed/legal entity belongs to Ideal Abason Builder / Chakram Builders who while building up the flats were having the intention to fill it (!!) and erect another structure there . While in opposition of the locals , that could not be done , the builder just left it outside the campus isolating it by a side wall to be left to its own (without any drive for care and concern for its maintenance). And the locals who are not that defined or unified to make a well concerted effort to reform or refresh this waterbody which used to shelter fish, bird and a greenery surrounding it just exploit it all around the year intended , unintended both. 

Literally because the same locals who braved not to allow it to get it filled and reclaimed  by the greedy builder for commercialization now themselves exploiting the whole pond in their own ways  either out of  callousness or sheer apathy about it. The place of emersion and urination both , huge trash littered around it, most of the time becomes open dustbins of everybody who are passing by as well as who also resides by , once beautiful pond is just in its last breath anyway. Several persuasion yields no result as nobody , just nobody wants to take the ownership of it . The Ideal residents never looked to the pond as it is outside their wall and the commuters or local resident just look the other way because it is not their asset anyway. Stuck between such legal vacuum , the pond is simply driven to a mercy killing , a slow but sure death to its own out of sheer indifference and pollution cum destruction by all surrounding it. Whole pond is being littered with polyethene , theromcol , and everything non- biodegradable trash are floating on its deep black water not being reformed for years. The birds are just too reluctant to come back and so its inhabitant fishes which just brace for endemic of death being gagged by unbridled pollution yearlong.

As said there cannot be more ironic when the whole world is refocusing on stakeholders responsibility to save it from exploitation (whether its by climatic , or political , geographic or social ) how a live  waterbody in mainland Kolkata(700136) which just helps our depleting aquifer layers getting recharged 24X7  being allowed to disappear and be destroyed as nobody have any stake in it!!!!.

In such a precarious situation , the last hope our Hon’ble  Minister  with other stakeholders to intervene as the last  resort to save the Pond and take whatever initiative needed to reform and rear such a beautiful water resource  before getting fully obliterated.

“আঁধারনামা…. The Darkness Manifesto”

পার্থ মিশ্র

এসো আমরা অন্ধকারের কথা বলি , নিয়নের আলো থেকে একটু দূরে যেখানে একলা ঝিঝি ভয়ে চুপ করে আছে , দিন রাতের হিসেব হারিয়ে ফেলে ।

চল আমরা রাতের তারাদের কথা বলি , কতদিন স্ট্রীট লাইটের ওপরে যে কোন আকাশ দেখিনি ।

আমরা সেই পথভ্রষ্ট রাতচরা পাখিদের কথা বলি যারা তাদের অনিদ্রাতে ভোগা পরিচিত মহানগরীকে তার কৃত্রিম আলোকমালায় আর খুজে পায়না ।

লাইটহাউসের পিছলোতে থাকা আলোক বর্তিকা আর আলোকোজ্জ্বল আধুনিক জাহাজের অতি রশ্মিতে রত্নাকর সমুদ্রের মধ্যে জলজীব সব আজ সম্পূর্ণ দিশাহারা

রাতভর পাক খেতে থাকা আঁধারের সন্ধানী কীট পতঙ্গের দল ক্লান্ত ভোরে সার সার শুয়ে থাকে রাজ পথে রাতের অবাঞ্ছিত সব আলোর কাহিনী তাদের রঙ্গিন শরীরে মেখে।

দিনান্তের পাণ্ডুলিপির সামনে বনলতা সেনের মুখের উপর আজ আর কোন আলাআঁধারি বেঁচে নেই ,

সেখানে তীব্র বৈদ্যুতিক আলোয় সেই সব চিত্রকল্প নগরীদের হারিয়ে তার মুখের ওপর জেগে ওঠে আলোক-প্রদুষন কাঠিন্যের শহুরে বলিরেখা ।

আদুরে নরম সেই ছায়াদের কথামালা ফেলে এসেছি আমরা আমাদের বানানো আলোক স্তম্ভের উজ্জ্বলচ্ছটার পেছনে সভ্যতা আর বিকাশের দোহাই দিয়ে ,

সবুজ অন্ধকারদের তাড়িয়ে সেখানে বসিয়েছি আলোর রোশনাই ;

আঁধারকে আমরা হারিয়েছি আলোর এক সংযমহীন পিপাসায়,

আজ দিগন্তজুড়ে নিয়নের উজ্জ্বল আলো ,আর ক্রমাগত যান্ত্রিক নিঃসরণে
উল্টোমুখি আমাদের জৈবিক অভ্যেস ,

ভারসাম্যহীন আমরা আর আমাদের চারিদিক লিখে চলেছি এক বিপর্যস্ত সভ্যতার ইতিহাস যাকে শুরু করে ছিল এডিশনের এক আবিষ্কার

এসো আমরা ফিরিয়ে দিই সেই সভ্যতাকে তার আঁধার টুকু যার ওপর সে আলোর ইতিহাস তৈরি করবে আবার নতুন করে,

এক সুসংযত , সুবিন্যস্ত দিন আর রাত্রির মায়াজালে।
যেখানে আলো আর আঁধারির দেয়ালাতে , রাতের পতঙ্গের পায়ে পায়ে পরাগ ছড়াবে এক ফুল থেকে আরেক ফুলে ,

যেখানে নিরবিছিন্ন রাতের পর প্রত্যেক সকাল আবার জেগে উঠবে হাজারো পাখির গানে।

এস আমরা আঁধারকে আর হারিয়ে যেতে না দিই , তাকে আলোর সাথে একই ভাবে জাগিয়ে রাখি, আমাদের ঘুম পাড়ানিয়া গানের মাঝে ।

প্রত্যাবর্তন “হারমনি” তে- আগা শাহিদ আলি

আনুবাদ – পার্থ মিশ্র

দুটো গ্রীষ্ম, দুটো আলাদা সময় ।

কিন্তু সেই  রেশমি হাওয়া এখনো একই ভাবে আকাশ থেকে ঘুর পাক খেতে খেতে নাঙ্গা পাহাড়ের চুড়োর পাথরে ধাক্কা দিয়ে পড়ছিল।

আমি নেমে এলাম হাওয়াইআড্ডার ঢালু বেয়ে ,

টারমাকে কানাঘুষো শুনলাম সেনারা বাগান জ্বালিয়ে দিয়ে স্বর্গকে বাঁচাবে!  “অপারেশন টাইগার”।

এটা আমার বাড়ি , ছাই দিয়ে ঘেরা এক আভাগা স্বর্গ ।

 গোটা রাস্তায় ইটের টুকরোর ওপর দিয়ে  , আর আধা সেনাদের  ক্রমাগত জিগ্বাসাবাদের মধ্যে দিয়ে আমি  “হারমনি” তে ঢুকলাম .

পিঠোপিঠি তিনটে বাড়ি , সবুজ ঘাসে ভরা বেশ কয়েক একর জমি দিয়ে ঘেরা তিনটে ইমারত যেখানে আমার মাকেই সবচেয়ে বেমানান ভাবে  দীন মনে হত ।

একদম সামনেই একটা সেনা ছাউনির অবিরত কিন্তু অদৃশ্য দৃষ্টির মাঝখান দিয়েই আমি ফটক খুললাম,এক অবাঞ্ছিত আতিথি নিজেরই ঘরে ।

কিন্তু বাগানের  মালিকে দেখছিনা তো , সে কোথায় চলে গেল ?

আমার দিদিমার ঘরে তালা,  যেখানে কিনা তাঁর দুই ছেলে শহিদ হয়েছিল।  আসলে তারপর থেকে সেখানে না কোন আয়না আছে ,  না আছে কারো প্রতিবিম্ব 

জানলার  নীচে ওদের বিছানায় বুনো গোলাপের ঝাড় এখনো দম আটকে  শুয়ে আছে।

আচ্ছা মালিকে কি ওরা সত্যিই মেরে ফেলেছে ?

আর ডাক হরকরাকে?

বারান্দাতে  খোল নলচে বেরিয়ে পড়া পুরনো সুগন্ধি টেবিলের ড্রয়ার হাতড়াতেই বেরিয়ে এলো কিছু সোদাঁ গন্ধ চিঠির টুকরো ,

একটা বাবাকে লেখা  গত শরতের সভাতে উপস্থিত থাকতে,

আরেকটা এক বিয়ের নিমন্ত্রন ।

কোন কারণে আমার প্রথম চাবি ঘোরাতেই দরজা খুলে গেল ভেতর ঘরের আর আমি এক নৈঃশব্দ্যের মধ্যে তৎক্ষণাৎ ঢুকে পডলাম ,

আলোটাও দেখলাম বিনা বাধায় জ্বলে উঠল।

ঠিক যেখানে মা ছেড়ে এসেছিল সেই ওয়ালনাট টেবিলে অদ্ভুত ভাবে  জামওয়ার শালে মোড়া কোরান খানি এখনো রয়েছে ,

 আর তার পেছনে ফায়ার প্লেসের ওপরেই লেখাটা একইভাবে জ্বলজ্বল করছে,

“ঈশ্বর তোমার সাথে তো জয়ও তোমার সামনে”

মাকড়সার জালের মধ্যে দিয়ে বাক্য টুকু যেন আরো বেশী স্পষ্ট।

আমি মূক ফোনটাকে তুলি , নির্বাসিত কিছু সংখ্যা মুছে যাচ্ছে যন্ত্রাংশ থেকে,  বিছিন্ন আর বিস্মৃত কিছু স্বর ভাষাহীন ভাবে যেন আলতো ছুয়ে থাকে তাতে। 

তারপরেই হটাতই বাঙময় হয়ে ওঠে সে , রফি সাহেবের একটা গান গুনুগুনিয়ে ওঠে, কোন এক যুদ্ধের গান ,

আর আমি আরও ধীরে আরও ধীরে হেঁটে চলি সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে

এই ভাবেই আমার মায়ের থেকে দূরে চিরকালের জন্যে হারিয়ে যেতে থাকি।

গান শেষ হল , ভাষ্যকার বলে উঠল , “This is all India Radio, Amritsar ”

আমি ফোনটা রিসিভারে রাখি ।

দোতালায় জানালার কাচেও আয়না লাগান আছে , আমি ঝাঁপালে আমার নিজের কোলেতেই এসে পড়ব আবার,

আর সেই  জানালার ভিতর দিয়ে আমার চাহনি কে দূরের পাহাড়গুলো  কোন রক্ত না ঝরিয়ে বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছে ।

বইয়ের তাকে ‘রিতশোস’, ‘রাইল্কে ‘, ‘চাভাফি’, ‘লোরকা’ , ‘ইকবাল’, ‘আমিসি’,আর ‘পাজ’ এই সব কবিদের সাথে গা লাগিয়ে আমার বাবামায়ের বিয়ের ছবি এখনো একই ভাবে এতো ঝকঝকে আর সজীব ! 

অথচ  মা আমার , সাদা কালো ফ্রেমে এক অষ্টাদশী , যখন প্রথম এই “হারমনি” তে এসেছিলেন , সারা বাড়ি কেঁপে উঠেছিল বেসামাল হয়ে তাঁর অপরূপ সৌন্দর্যে ,

তিনি যেমনি দীন ছিলেন তেমনই দুর্দান্ত সুন্দরও ছিলেন ।

সেই কম্পন , সেই গোটা বাড়ি ময় উত্তেজনা এখন আমি আবার পাচ্ছি,

আর এখন এই সেই বাড়িটাই আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে সামলাতে ,

সেই শূন্য বাড়িটাই,

আর সেই শূন্যতা থেকে গুমরে ওঠা কান্নাই

এখন বেসামাল আমাকে সামলাচ্ছে ।

রাত্রির রঁদেভু- ফৈজ আহমেদ ফৈজ

অনুবাদ : পার্থ মিশ্র

মধ্যরাত , চাঁদ আর আত্ম বিস্মৃতি।
বিষণ্ণ এক রঙ্গমঞ্চ।
এখানে নৈশব্দঃ জন্ম নেয় বারবার ।
আর তার সাথে জেগে ওঠা বিপুল নক্ষত্ররাশি
অন্তহীন প্রশান্তির ঝিল্লি দিয়ে ঢেকে রাখে এক বিস্মরণের চরাচর ।
এখানে অস্তিত্ব আসলে কল্পনা থেকে কেটে নেওয়া এক টুকরো লহমা ,
আর পৃথিবীটা শুধুই একটা মরীচিকা বই কিছু নয় ।

বৃক্ষরাশির ওপরে ক্লান্ত চাঁদের আলো এখন অর্ধনিমীলিত চক্ষে শয়ান,
তারাপুঞ্জ আমার প্রার্থনা পৌঁছে দিচ্ছে মুক ও মোহাবিষ্ট।
আমার হৃদয়ে এখন এক বাঙময় নৈঃশব্দ ,
আর মদিরতা মন্থনে উঠে আসছে এক অনন্ত আবেশ।

বাসনা , কল্পনা মেশান তোমার সেই সব দৃশ্যাবলী এখন এতটাই মোহিনী হয়ে উঠেছে !

বন্ধু আমার …. ফৈজ আহমেদ ফৈজ

অনুবাদ : পার্থ মিশ্র

যারা কিনা আমার কল্পনা আর কবিতার প্রাণ ছিল
যারা কিনা আমার ভাবনা আর কাজকে চিরকাল হাসি জুগিয়েছে ,
যারা চাঁদ আর তারার মতই আমার মনের আকাশে সবসময় জ্বলজ্বল করত
আমার ভালবাসাকে আরও তীব্র করার সাহস জুগিয়েছে যারা
কোথায় গেল সেই ইচ্ছে গুলো বন্ধু ?
কোথায় গেল সেই গাঢ় রং গুলো বন্ধু ?

সেই বুভুক্ষু চাহনি, সেই প্রত্যাশী পথ,
সেই থেমে থেমে ওঠা গভীর শ্বাস হৃদয় কে সংযত রাখার
অপলক রাত জেগে থাকে অন্তহীন এক অন্ধকার শোয়ার ঘরে,
আধ জাগা গল্প গুলো মখমল হাতের মত পেলব আর মোহিনী,
কোথায় তারা সব হারিয়ে গেল বন্ধু আমার ?

এখন আমার শিরা উপশিরায় রক্তের স্রোতে বসন্তের লাল রং,
আমার প্রাণ ফেলে আসা দুঃখ গাথায় ডুবে আছে আবক্ষ ,
বন্ধু এস না এখন আমরা দয়িতের সমাধি স্থলে আবার আলো জ্বালাই
যেখানে অপেক্ষা করে আছে পুরনো ভালবাসা,আর নি:শেষ হয়ে যাওয়া প্রেম।

সবিতা কেন ভালো আছো ?

সবিতা তোমার বাবাকে মনে পড়ে ? অফিস ফেরত বাসটা পাড়ার মোড়ের আগেই চাপা দিল 

কয়েক ভাইবোনের বড় সংসার তোমার মায়ের কাঁধের চেয়ে তো অনেকই বড় ছিলো।

বড় ভাই পড়া ছাড়ল, পরেরটা পাড়া,

পেটে খিদে আর চোখে আগুণ , কি বা ছিল করার শুধু মাস্তানি ছাড়া . 

দিদির প্রেমিক পালাল, দিদিকে নিয়ে

সবিতা তোমাকেও তো অনেকে তখন ইশারা করত কুঃদৃষ্টি দিয়ে।

পাড়ার ছেলেরা ছুঁড়ত কাগুজে বিমান , আর শরীর ছুঁতে চাইত মাস্টার মশাই ,

সবিতা তোমার তো বিয়ে হয়ে ছিল মাধ্যমিকের আগেই ?

বাল্য বিবাহ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি , ওঠেনি কোনখানে কোন কথা,

এতটুকু মেয়ে স্কুল ছেড়ে গেল তাতে হবেই বা কার  মাথাব্যথা ?

মায়ের শরীর শীর্ণতর , পরিবার ছন্নছাড়া,

সবিতা তুমি বাড়ি ছাড়লে , একবারও কাঁদেনি পাড়া।

মদ্যপ স্বামী , কুচক্রী শাশুড়ি

কোনদিন পণের টাকা , কোনদিন মোটর গাড়ী

তোমাকে হেনস্থার অজুহাত চিরকালই কাঁড়ি কাঁড়ি।

পড়শির চোখে ঠুলি , আত্মীয়েরা তেমনই মৌন,

সবিতা সেদিনও কেউ গলা তোলেনি তোমার জন্য ।

জঠরে মদ ছিল , শরীরে জরা ছিল, মরাটা বাকি ছিল , জানত  সকলেই ,

বিধবা তুমি হলে , সধবা কবে ছিলে ? প্রশ্ন শুধু কেন তোমাকেই ?

পড়শি জেগে গেল , পাড়াতে রব হল , উঁকি ঝুঁকি বাড়ে দরজায়,

বিধবা একাকী মেয়ে, সবাই দেখে চেয়ে চেয়ে , আলাপ জমাতে কে না চায়।

বন্যপ্রাণীদের প্রাদুর্ভাব দরজায় ,

আঁচড়ের দাগ হামেশা দেখা যায় ,

লাল মেঘ দেখে ভয় পেলে তুমি , আবার সিদুর মাখল তোমার কপাল ,

সুখটা পাওনা ছিল অনেকদিনের , দুঃখ নাহয় অপেক্ষায় থাক আপাতত কিছুকাল।

গা ভরা গহনা হল , বাড়ি ঘর সবই হল , ছেলে মেয়ে  সুখের সংসার ,

তোমাকে রানী করে , পরম সোহাগ ভরে , সুখ বুঝি উপচায় আধার ।

হটাতই মৃদু কম্পন সারা হৃদয় জুড়ে, অবশ হাত অবশেষে ছাড়ল তোমায় 

হটাতই যতি সেই সুখে তাই 

তুমি যে বিধবা হলে , কতটা কষ্ট পেলে  দেখতে এলাম আমরা সবাই ।

কোথায়  কান্না , ক্লেশ , কোথায় বা শোকবেশ , চাইলেনা তো কোন আশ্রয়

দেখাব সমবেদনা ,এটুকুই তো পাওনা , সেটুকুও কেড়ে নিলে এসময়

চোখে জল কোথায় , চুলের বিন্যাস অটুট , শরীর এখনও হলনা কেন ভঙ্গুর ?

 অনেকই প্রশ্ন ছিল  , অনেকই আশা ছিল , সবিতা তুমি সত্যিই খুব নিষ্ঠুর ।

সবিতা ভালো আছো ? কি করে ভালো আছো ? আমরা তবে কেন ভালো নেই 

এ কেমন সুখে থাকা, বেঁচে থাকা, ভালো থাকা, অন্যের অনুকম্পা ফিরিয়ে দিয়ে 

সবিতা তোমায় দেখতে এলাম , এসে বড় হতাশ হলাম , ফিরে যাচ্ছি মনকষ্ট নিয়ে ।  

অপেক্ষা


শববাহী গাড়ীটা শম্বুক গতিতে এগুচ্ছিলো।

সঙ্কীর্ণ রাস্তার দুদিকে ক্ষণিকের ব্যস্ততা, আলোর রোশনাই 

আবার লম্বা টানা অন্ধকার , চুপ চাপ মালবাহী লরি গুলো দেওয়ালের গা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে।

শব শূন্য গাড়ীটার কোন তাড়া নেই ,

মৃত লোকেদের ভিড় কে পাশ কাটিয়ে বড় সাবলীল গতিতে গাড়ীটা চলছে ।

পাছে ভুল লোক চড়ে বসে তাতে ।

অনেক রাতের যাত্রীরা হাত দেখাচ্ছিল, সে দেখেও দেখেনি .

শেষ বাস মিস করা যাত্রীরা হাত দেখাচ্ছিল সে গতি কমায় নি একটুও

কিছু মাতাল জোর করে চাপতে চাইছিল

একতা হিজড়ে কাচে টোকা দিয়ে পয়সা চাইছিল 

ট্রাফিক পুলিশও তার পাওনা বুঝে নিতে হাত দেখিয়ে ছিল

কোন কিছুকে ভ্রুক্ষেপ না করে সে আপন মনে এগোচ্ছিল।

নিঃশব্দ অহংকারে বড় সহজ ভাবে সে এগোচ্ছিল ।

ঠিক আমার সামনেই সে যাচ্ছিল  

তার চালকের আয়নায় আমার মুখচ্ছবি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ।

আমার অকারন উত্তেজনা, রাগ, ভ্রুকুটি, স্লথতাকে মেনে না নেওয়ার ক্ষোভ 

কোন কিছুই তার আয়না থেকে বাদ যাচ্ছিলনা।

আমার মুখের প্রতিটা বলিরেখা ও স্থির দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছিল

আমার অস্থিরতা ওই ঠাণ্ডা গাড়ির আয়নায় একটা স্থির প্রতিচ্ছবি ছাড়া কিছুই ছিল না।

ওর তো আদৌ কোন তাড়া ছিলনা ।

শুধু একটা সঠিক জীবন সে খুঁজছিল যার মৃত্যু কে ও বইবে

পরম শ্রদ্ধা নিয়ে সে একটিবারের জন্য সত্যি মৃত কাউকে বইবে 

যে কিনা এতদিন বেঁচে থেকে মারা যাবে এই প্রথম ও শেষ বার।

তাই আরও অপেক্ষাতে সে শম্বুক গতিতে এগুচ্ছিল

ঠিক আমার সামনে , তার কাচের আয়নাতে আমার মুখচ্ছবি স্থির।  

ফৈজ আহমেদ ফৈজের প্রতি আগাহা শাহিদ আলী (অনুবাদ পার্থ মিশ্র)

তুমি  যখন এই কবিতা লিখছিলে তখনো সাব্রা সাতিলার নৃশংসতার দুবছর বাকি ছিল ,

বেইরুটের উদ্বাস্তু  ক্যাম্পে  খোলা আকাশ তখন ভাগ করে নিয়েছে ইসরায়েলি বিমান আর খবরের কাগজওালারা,

তুমি মূক সাক্ষী ছিলে সেই পাথর  ছোঁড়ার ,

তোমার শহর  থেকে অনেক দূরে ,

পাকিস্তানের উদ্যত  কৃপাণ থেকে অনেক দূরে,

নিজের হাত ও কলম দুটোকেই কোনমতে বাঁচিয়ে ।

অথচ এই উপমহাদেশ তোমাকে ছাড়তে চায়নি কোনদিনও,

গালিবের কবিতা , মৃত কবিদের  সান্ধ্যগীত ,

সব সময় তোমার আশেপাশে থেকেছে সেই নির্বাসনে।

১৮৫৭ সালের যে ঝোড় হাওয়া দিল্লির  কোন এক সকালকে শেষ রাতের ঘুম থেকে টেনে তুলেছিল সারিসারি সিপাহীর ঝুলন্ত মৃতদেহ  দেখাবে বলে,

যখন গালিবের সাথে তোমার  কথোপকথন আরও সোচ্চার হচ্ছিল ,

যখন একে একে বিষণ্ণ কবিরা তুনিশিয়া , বেইরুট, লন্ডন বা মস্কোতে

আড়ালে আবডালে নিরব শোক করছিলো

তোমার কবিতা তখন আরও বেশি বাঙময় ।

এক ভঙ্গুর সময় কে , এক বিষণ্ণ সময়কে ধরে রাখা তোমার শব্দগুলো,

তখন চোখ বেয়ে ঝরে পড়া রক্তের স্রোতের সাথে ছড়িয়ে পড়ছিল ওই সব শাপগ্রস্ত আর যুদ্ধ বিদ্ধস্ত শহরের অলি গলিতে।

সেই ছোট বেলা থেকেই বাবা তোমার কবিতাকে চেনাতে চেয়েছে বারবার,

আমরা চিনতে চাইনি।

তোমার কবিতা বন্ধু , নারী ,নাকি  নিষ্ঠুর   প্রেমিক  নাকি  ঈশ্বর , তাতে সেই ছোট্ট শাহিদের কিই বা   যেত আসত।

যতই তোমার কবিতার ঠোঁট রাঙ্গিয়েছ , রুপোলি হাত দিয়েছ,

বিষণ্ণ প্রেমিদের দিয়ে তার জন্যে রাত জাগিয়েছো ,

তবু আমরা তখনো তোমার কবিতা , তোমার বিপ্লবকে কোন দিন চাক্ষুষ করলাম কই ?

আর সত্যি যেদিন তাকে প্রথম দেখলাম ,

ততক্ষনে তোমার ভাষাটাই চলে গেছে , গানের আর সুরের দখলে।

বেগম আখতার বুনে চলেছেন তার রাগ ও সুরে তোমার শব্দ গুলো নিয়ে এক আশ্চর্য মায়াজাল,

আর সেখানে তারা যেন আরও,বেশি ধারাল, আরও বেশি উদ্যত হয়ে উঠেছে

ভালোবাসার আর কারাগারের কথা একই সাথে বলবে বলে।

সেই আমার প্রথম হাতের এতদিনের শৈশবের মুঠো খোলা , আর হস্তরেখায় শুধু ই রাত্রির হিজিবিজি লেখা দেখা।

তারপর…

তারপর যখন তোমার সম্মতি পেলাম তোমাকে আমার মত করে পড়ব বলে,

যখন প্রস্তর ফলকের দিকে  চাইলাম , তোমাকে পড়ব বলে ,

কারাগারের গুমোট দেয়ালে ,

টুকরো টুকরো খামে ,

যখন আমি তোমার কবিতাকে হন্যে হয়ে খুজে বেড়াচ্ছি ,

তুমি তখনো ছিলে আমদেরই রক্তের  মধ্যে , উষ্ণ , বহমান আর ঘোর রক্তিম,

আমারি  শরীরে তারা ছিল অন্তরীন ,আমার স্বেচ্ছা নির্বাসনে আমারই মত আরেক কয়েদী হয়ে।

তখনই , ঠিক তখনই তোমার মৃত্যু সংবাদ এল সেই উপ মাহাদেশ থেকে।

তখন সেখানে তোমার ভাষায় আর কেউ কথা বলত না।

যেখান থেকে ঠিক কুড়ি দিন আগে তুমি জানিয়েছিলে

বেইরুট থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর তোমার তো ঠিকানা শুধু কবিতায় ,শব্দে আর স্বগতোক্তিতে।

বন্ধ দরজার পেছনে সব মোমবাতি গুলো তুমি নিবিয়ে দিলে ,

একেক করে সব সুরাপাত্র গুলো ভেঙ্গে ফেললে ,

 যদিও তুমি জানতে কেউ ফিরে আসবেনা , কেউ ফিরে আসেনা কখনো, তবু  ফঈজ

তুমি তো তখনো অপেক্ষায় ছিলে,

সেই ঈশ্বর , নারী, আর বন্ধুটির জন্যে

যার নাম দিয়েছিলে তুমি বিপ্লব নাকি  অভ্যুথান ।

আর আমি শুনতে পাচ্ছিলাম

তোমার অপেক্ষার মধ্যে কড়া নাড়ছিল

সেই সব কস্তূরী গন্ধের আশাগুলো , কিছু বিক্ষুব্ধ মুখশের আড়ালে।

Every war starts with single ego(aspiration sans competency) and ends with so many lives(just absolute lives). We saw it before and we will see it again

 


The man got killed in Bagdad Airport, Major General Sulemani of Republic of Iran just played some roles which could be called easily terrorism  in other country but patriotism in his own thanks to his big lineage celebrated army badges and deep relationship with  Religious Supremo of the country Ayatollah . But that is in apparent meaning which is very misguiding. In real sense the man was too stupid to provoke regional imperialism of Iran in the war trodden, already chaotic nations with ruins and rampage either by their own ruthless rulers(like  Asad’s regime in Syria) or the Monstrous invaders (ISIS in Iraq, Syria, Yemen). Just taking the same divisive lethal politics between Shiaites and Sunnis by which he sowed the first seed of  ISIS which the whole Iraq and other forces had to be deployed to decimate with much bloodbath, the same man started another imperial quagmire between the two ethnic Islamic nations  to create unrest and coalesce its power in both the nations (Iran and Iraq) very fast ,a direct threat to the west in any case. Basically a war monger leader of army faction which acts outside the Iran just got his very timing so wrong in his all  these missions because of the very existence of another man in the earth bestowed with two super power at a time of which one is extremely developed air attack with unmanned drones, precision ammunition and  the other is excessively accumulation of  individual discretion in post of president even as raging the war against any nation post 2001 attacks on ATC.Added to the two power , the man in charge got third super quality which is also unparalleled in the world and ie extreme level of eccentricity , an outright crackpot, screwball the world has ever seen in the hot seat in America. Donald Trump and Suleimon just have enough similarity in two counts , both have been war hawks for nothing  just enough stubborn (and equally stupid) to reach the brinkmanship , and both were imperialist for nothing (just to stick to their status of power). Now while with allies and other base except East Asia warpower of America is unprecedented and unmatched, but not to forget Iran with its so many covertly built up nuke and other strength(too hard to keep vigil for the world) have equal power of creating chaos and crisis to fish and foster one’s own agenda in the post war countries like  Iraq , Yemen, Lebanon and Syria the hotspot with enough combustible issue. So it was hardly at anybody’s loss or gain other than their own individual egos and eccentricities which clashed in the veil of broader and bigger excuses of which one is prestige (for Iran to brave the western power against all those demeaning sanction and scary threats )  and other is protection(of American interest and identity of superpower in the battle torn zone which they first destructed and now constructing))of Iraq-Syria-Yemen-Lebanon. The weaker got torn into pieces and the stronger one does not have enough clarity to celebrate. But in one thing world should not be in confusion that it is braced with immediate retaliation with more vigor and vengeance and above all another spiral of conflict and confrontation tacked with much more destruction is on the offing.