ইচ্ছামৃত্যু ?

মৃত্যু তুমি কার? আমার না  অপরের ?

ওপারের অন্ধকার আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে,

আর এপারের বেসাতি , পরিষেবা ,বিপণন জোর করে মেলে ধরে আমার শরীর।

প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের কাঠামোয় ।

 

সাহিত্য , কাব্য , উপন্যাসের শব্দ বিন্যাসে ওরা আমার মৃত্যুকে অমর করেছে ,

অপারেশন থিয়েটার , আই শি উ আর ভেন্টীলটরের আয়েশি ঠাণ্ডায় আমার মৃত্যু রাত জেগে থাকে তার প্রিয়জনের ফিসফিসানি আর খবরের কাগজের বিস্ময়ে ।

 

অথচ এমনটি হওয়ার কোন কথাই ছিলনা …

সেই যুবতী “কুইনিন”  যেদিন কোমায় আছন্ন  শরীরে  মৃত্যুকে প্রথম প্রশ্ন করল ,

যেদিন চার্চের  গোঁড়ামি আর  চিকিৎসা শাস্ত্রের  মধ্যে টেনে দিল সংঘাত রেখা, যখন কিনা জন্ম নিলো কিছু নতুন শব্দের উথেনেসিয়া , মারসিকিলিং , নিষ্কৃতি মৃত্যু …।

মৃত্যু আবার জন্ম  নিলো  বিজ্ঞ্বানের পাতায় ।

 

আজ তাই মৃত্যু তাই ভীষণ ভাবে জীবিত নতুন নতুন শব্দের শরীর নিয়ে ।

কিছুটা গবেষণার বই ,আর কতকটা বিচারের কাঠগড়ায় ,

আর অনেকটাই বিতর্কের প্রাজ্ঞ্তায়।

 

মৃত্যু আজ শব্দ আর শ্লাঘার মায়াজালে   আবদ্ধ এক গভীর আলোচ্য বিষয়।

মৃত্যু আজ আজ সাদা পরিচ্ছদের আড়ালে উন্নাসিক চিকিৎসকের অনুগত ভৃত্য।

মৃত্যু আজ শুভাকাঙ্খী পরিজন আর চিকিৎসা বিজ্ঞ্বানীর মধ্যে এক সম্পাদিত চুক্তি

মৃত্যু আজ দুই পক্ষের এক অলিখিত সমঝোতা ………

 

মুমূর্ষু রোগী যেখানে একবারেই এক  সাদামাটা তৃতীয় পক্ষ……

 

The Great Enigma by Tomas Transtromer(অনুবাদ পার্থ মিশ্র)

১)   কাঁচের  বয়ামে সরীসৃপেরা শান্ত , গতিহীন।

কোন এক এলোকেশী তার বারান্দায় নৈশব্দ কে মিলে রেখেছে একান্তে

মৃত্যুও এখানে শৃঙ্খলা বদ্ধ , নিয়মানুগ।

আর নীচে মাটির গভীরে আমার আন্তরাত্মা  যেন এক ধূমকেতু, আমি টেরপাচ্ছি তার দুর্বার আর দুর্বিনীত বায়বীয়  এক শব্দহীন নিঃসরণের ।

 

 

২)    পথের শেষে এ এক নতুন পরাক্রম

অনেকটা পেয়াজের খোসার মত , একটার  পর একটা মুখোশ , শিথিল, কিন্তু আবিরাম তার প্রকাশ।

 

 

৩)   রঙ্গমঞ্চ গুলো  ছেড়ে চলে গেছে সবাই , এখন রাত গভীর

কিছু শব্দতে কেউ আগুণ ধরিয়েছে সামনের দালানে ,

আর তার নরম আগুনে আঁচ পোয়াচ্ছে সেই অনুত্তর চিঠি গুলো

যেগুলোকে কেউ কোনদিন দিনের আলোতে দেখবেনা ।

 

 

৪)     ফাঁসির আসামি যখন দেওয়ালে প্রথম হাতুড়ি মারে

আগুনে আকাশ পাক খেতে থাকে দ্রুত

কয়েদীদের ছন্দ আবার ফিরে আসে তাদের যে যার জীবন কুঠুরিতে

শোনা যায় পদধ্বনি সুর করে ।

ধূলোটে আর ধোঁয়াটে মাটির ওপর ভাঙ্গা দেয়ালে  তখন ছোট্ট ছোট্ট আকাশ

আর তার মধ্যে  থেকে উঁকি মারছে চাঁদের মত ভেঙ্গে ফেলা পাথর গুলো ।

 

৫)    শহরে ঢোকার মুখেই ঘন ঘন ট্রাফিক সিগন্যালের মত

শবযাত্রা গুলো একের পর এক এগিয়ে এলো ।

সহস্র সহস্র মানুষ ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছায়াদের দেশে ,

দূরে কোথাও ফুটে উঠেছে এক অস্পষ্ট  সাঁকোপথ

জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে ।

 

৬)     এক বদ্ধ ঘরের অন্ধকার চৌকাঠ পেরিয়ে আমার পা।

সাদা কিছু জীবনের নথি পত্র দেখতে পাচ্ছি ,

অস্পষ্ট সব ছায়ারা সেখানে হুটোপুটি করছে নিজের নিজের সাক্ষর দেওয়ার জন্যে,

ততক্ষণে আমার আলোক স্নান সারা , আর সময়ের ভাজে আপাতত নিজেকে মুড়ে নিয়েছি আপাদমস্তক।

 

 

 

 

 

 

কলিকাতা চলিয়াছে নড়িতে নড়িতে – পার্থ মিশ্র

‘উবের’ ‘ওলা’ রা ধীরে ধীরে গিলে ফেলছে কলকাতার গল্প গুলো,

কলকাতার কথক ঠাকুর  সাদা কালো ট্যাক্সি গুলো এখন আর ইতিহাস বয়ে বেড়ায় না।

আভিমানী হয়ে ঘুরে বেড়ায় যাত্রী ছাড়াই ।

প্রশস্ত রাজপথে তাল মেলাতে পারেনা নতুন প্রযুক্তি আর বিলাসী  চলমান জীবনে ।

নিজেদের শহরে নিজেরাই ব্রাত্য , অপাঙতেয়

শীতাতপ সুদর্শন  গাড়ি গুলো কোন এক অদৃশ্য অন্তরজালে নিজেকে  জড়িয়ে অক্লান্ত সেবাতে প্রলুব্ধ করেছে এই প্রজন্মকে ।

নবীন যাত্রী গম্ভীর , গল্পহীন ।

আর কোন এক অদৃশ্য বিপণি শক্তিতে আজকের যাত্রা  , যান  আর  যাত্রি সবই সুনিয়ন্ত্রিত , যেখানে পুরনো ,ঢাউসগাড়িগুলো একবারেই অবাঞ্ছিত।

অথচ……

কত না কাহিনী সে বয়ে বেডিয়েছে সারা জীবন ।

নতুন প্রেম , প্রথম বহাল  নাকি  শেষ যাত্রা সবেতেই  তো সে ছিল কলকাতার সাথে ।

এই শহরের সাথে তার বড় হওয়া পিঠোপিঠি।

রেড রোডের গাচের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নেওয়া  ,ধর্মতলার মালসা ভরা ঘন দুধের চা । ভোরের কুমোরটুলিতে  কচুরি জিলিপি।

সে এই শহরকে গড়তে দেখেছে  , ভাঙতে দেখেছে ।

অশান্ত এই শহর , উত্তাল এই শহর , মিছিলে হাঁটা এই শহর , আলসেমিতে ভোগা এই শহর,

সুখ অসুখ  এই শহরের সবই এত কাল বয়ে বেড়িয়েছে  সে এতদিন ।

আজ তাই সে বিলাসী সুখী গাড়িগুলোকে দ্রুত গতিতে পেরিয়ে যেতে দেখে  অকারণ অভিমানী ।

 

“Alchemy of Sorrow” by Charles Baudelaire “এক অন্য পরশ পাথর”

একজন এসেছিল তীব্র ভালবাসা নিয়ে , আরেকজন শুনিয়েছিল তার বিষাদ গাথা ,

একজন বলেছিল সবকিছু শেষ হবে কবরে , আরেকজন শুধু জীবন আর যৌবনের গান গাইছিল

ভয় আর ভালবাসার মাঝখানে তুমি আমাকে এক পরশপাথর ভেবেছিলে , এক অন্য পরশ পাথর ।

কারন আমি সোনাকে করেছিলাম লোহা আর স্বর্গ কে নরক , আর সেই দুর্দান্ত নরকে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আমার পরম দয়িতের মৃতদেহ।

আমি সেখানে বানিয়েছিলাম আমার  প্রেমের সমাধি স্তম্ভ

 

 

‘Paris Spleen’ by Charles Baudelaire অনুবাদ পার্থ মিশ্র

আমার সহস্র বছরেরও অতীত এই স্মৃতি গুলো ,

এই কারুকাজ করা সময়ের ঝুল মাখা একটা সিন্দুক  আর তাতে ভরে থাকা কিছু কবিতার টুকরো , হিসেবের খাতা , প্রেমের কয়েক লাইন, আদালতের লডাই, আর শোকগাথায়।                                          সেই ফেলে যাওয়া অলকা চূর্ণ  , আর পাংশুটে হয়ে যাওয়া সংসারের খেরোর খাতা কেবলই মনে করায় আমি কতই না চতুর আর নিষ্ঠুর ছিলাম ।                                                                                         সেই সারিবদ্ধ সব  মৃতারা আজ শস্য ক্ষেত্র থেকেও  বিস্তৃত এক পিরামিডের পাদদেশের অন্ধকারে শায়িতা বহুযুগ ধরে।                                                                                                                                     আর আমি  যেন  চাঁদের আলোর থেকে  অনেক দূরে এক ব্রাত্য সমাধিক্ষেত্র ,যেখানে আমার প্রেমিকের কিটদ্রস্ট শরীর পড়ে আছে একা ও অনেকদিন।

ঝরে পড়া গোলাপ এলোমেলো ছড়িয়ে রেখেছে কিছু বিষন্ন রং কোন এক দুঃখী ক্যানভাসে,                    তার নিষঙ্গ নিশ্বাস সুগন্ধি আতরের মত জড়িয়ে রেখেছে সময়কে।

টেনে হিঁচড়ে চলা দিনগুলো , অনিচ্ছুক, অকারণ আর অনাবশ্যক জীবনের দিনগুলো,                    সঙ্গত কারণেই তাদের অমরত্ব  হারিয়েছে।

কবিতার মুখবন্ধ (‘Prelude’ by Tomas Transtromer) অনুবাদ পার্থ মিশ্র

রাতের স্বপ্ন থেকে সরাসরি সে ঝাঁপ দিয়েছে বাস্তবের সকালে।

এক বহমান সকাল, এক সবুজ সকালের দিকে সাঁতার কাটছে সে সমানে।

পেরিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে জেগে ওঠা এক বাস্তবের সকালকে ।

ভোরের পাখীর মত চাক্ষুষ করেছে সে মাটির নীচে শেকড়ের রহস্য,

আর তার আলোকমালার নিঃশব্দ প্রতিসরণ।

অথচ মাটির উপর শুধুই সবুজের সমারোহ,

আর তাদের ঊর্ধ্ব বাহু হয়ে শুনতে থাকা অদৃশ্য হৃদয়ের স্পন্দন।

ভেসে যেতে চাওয়া শত আলোক বর্ষ দূরে সূর্যের কুহরে।

সময়ের সে এক আকুতি জ্বলে যেতে চাওয়ায় , পুড়ে যেতে চাওয়ার।

আর তারপর ই…।

তারপর ই মুহূর্ত থেমে যায়,

দাঁড়িয়ে পড়া পল অনুপল হটাতই ডানা মেলে দিগন্তের দিকে,

উড়তে থাকে নিঃসীমের দিকে , নীচের স্বচ্ছ , সুনীল জলরাশি ছুঁয়ে।

ঠোঁটের নীচে এখন শুধুই বিস্তীর্ণ জলরাশি,আর তার অতলে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে মেসোপটেমিয়ার বিস্মৃত কোন এক লয়,তাল,সুর ।

এ যেন দিনের প্রথম প্রহরের চেতনাতে বেঁচে থাকার স্বরলিপি,

এক রৌদ্রতপ্ত পাথরের মুঠোবন্দী হয়ে থাকার কাহিনী।

ছায়ার প্রলোভনে আটকে থাকা  ক্লান্ত পথিক ,সবুজ ডালপালা ছাড়িয়ে দেখতে চাইছে ওপরের আকাশ,

মৃত্যুর আবর্ত কেটে সে এখন পরখ করবে জীবনকে,

আর সেই আলোকেই এবার তার কাঙ্ক্ষিত ধারাস্নান ।

 

 

 

 

 

 

বাবুদের মাস মাইনে – পার্থ মিশ্র

জীর্ণ শরীরে মোড়কের পর মোড়ক,
নিত্য নতূন এক প্রস্ত পোষাকে ভারী হতে থাকে তার আপাত পিঙ্গল তনু ,
সহস্র জ্ঞানের উন্মেষ নাকি মুক্তির চাপে তার প্রান আজ কেবলই ওষ্ঠাগত।
ক্রমাগত টানাপোড়েন , হয়তো বা বিপরীত দুই মেরূর বলবান তার্কিকের
মাঝে সে এক শীর্ণকায় অভিরূপ।
এক জীবন্মৃত কায়া, আতীত আর বর্তমানের মাঝখানে আটকে পড়া নাকি এক হারিয়ে যাওয়া ভবিষ্যৎ ?
যে আঁতুড় ঘরে তার জন্ম হয়েছিলো কোন এক বিস্মৃত দিনাঙ্কে,
কোন এক নোতুন ভাবনার আভাষে,
আজ তার আর কেউ খোঁজ রাখে না।
সেখানে এখন ক্ষমতা আর দম্ভের আলিন্দে ঘোরাফেরা করা ঊ তনের শব্দ এবং ব্যখ্যার সুউচ্চ ইমারত।
অকারন বাক্য বিন্যাস আর প্রশ্নোত্তরের ক্রমাগত পাশা খেলা , বন্ধক রেখে সময়কে , সিদ্ধান্তকে।
গন্তব্যটা হারিয়ে গেছে বহুকাল , এখন সেখানে শুধুই ঘূর্ণাবর্ত জটিল আর ফেনিল বহু চর্চিত জ্ঞান রাশিতে।
চক্রাকারে ঘুরতে থাকা কতগুলো নিয়ম নিগড় বাঁচিয়ে রাখে এক পথচলা , ক্লান্তিহীন , ক্লেশহীন আর দিশাহীন।
আর তার সাথে বাঁচিয়ে রাখে বাবুদের মাস মাইনের জীবিকাগুলো।
বেঁচে থাকো হে অফিশ ফাইল আর বাঁচিয়ে রাখ আমাদের।
আমরা তোমার শতায়ু কামনা করি।

পার্থ মিশ্র

ঊষ্ণায়ন(global warming) -১ পার্থ মিশ্র

উন্নতি , সভ্যতা , অগ্রগতি  এইশব্দগুলোর আজ খুব বাড় বাড়ন্ত ।

 ভোরের কুয়াশা ফালাফালা করে চিরে ফেলে নতুন সূর্য  সেই সাত সকালেই ,

শত আলোকবষ দূর থেকেও তার  সোজাপথে  আর কোন বাধা রাখেনি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ওযোন স্তর ।

উন্নতির উত্তাপে আজ পৃথিবীর মানুষ সেঁকে নিচ্ছে শরীর দিনভর রাতভর…

শিশির ভেজা ভোর আর বৃষ্টি ভেজা রাত গুলো আর অকারনে কবিকে উত্তক্ত করেনা ,

ফেলে আসা ছায়াপথ , পুরান কথা , লেপ মুড়ি দিয়ে ঠাকুমার গায়ের ওম শুধু স্মৃতি হয়ে  বেঁচে থাক অতীতের কথা কাহিনীতে।

ধরাশায়ী মহীরূহগুলো তার শেষ গল্প টুকু নিয়ে ট্রাকবাহী হয়ে চলেছে কাঠকলে  ।

সামনে শুধুই মসৃ্ন পথ,প্রশস্ত , নাব্য আর প্রখর অগ্রগতি সটান ………।।

ঊষ্ণায়ন -২ পার্থ মিশ্র

ঊষ্ণায়ন -২

 

ধীরে ধীরে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে সেই সব ভালোলাগা চিত্রকল্পগুলো ,

ধোঁয়াটে রক্তিম হয়ে গেছে বনলতা সেনের সেই পাখীর নীড়ের মতো দুই চোখ ।

নক্ষত্রের আকাশ আমি আর দেখিনা সেখানে কেবলই বিষাক্ত কার্বন ,

অমৃতের পুত্র আমরা প্রকৃতিকে দিয়ে গেলাম হাতে ধরে সেঁকো বিষ ।

নিজেরই প্রজন্মের ফুসফুসে ভরে দিলাম আমাদের কীর্তিকলাপের সর্বনাশা কার্বন কণা ।

দরজায় কড়া নাড়লে দেখি ডাক হরকরা বয়ে আনে ক্ষয়ের আর বিনাশ কালের নিত্য নতুন খবর ,

এখানে খরা , ওখানে ঝঞ্ঝা, মহামারী এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে , এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে ।

উত্তপ্ত পৃথিবীতে আজ দেখি মারণ কীটের মহাভোজ ।

কান পাতলেই শুনি ভেঙ্গে চলেছে দ্রুতলয়ে মেরু প্রদেশের হিমশৈল  ।

আর মৃত হেলবাট মাছেদের সারি সারি শব ডাঙ্গার উপর ,

তাদের শেষ আস্তানাটুকুও গতকাল শুষে নিয়েছে গ্যাস কোটরে আটকে পড়া তপ্ত সূর্যের টুকরোগুলো ,

আজ আর সেখানে বৃদ্ধরা তাদের পুরাণ গাথা শোনায়না

গল্প-গাথা  হারিয়ে গেছে প্রকৃতির ভয়ঙ্কর বেখেয়ালে ।

প্রবীণ কৃষক বুঝি আবহ ভাষা ভুলে গেছে বহুকাল ।

প্রকৃতির কোল ঘেঁষে থাকা মানুষগুলো তাই আজ খুবই ভীত ও উদ্ভ্রান্ত ।

কবির কলম থেমে গেছে বহুকাল , ধানসিঁড়ি নদী আজ এক মজা শুকনো নালা , নাকি তাও নয় !

আর আমরা সেই শ্রেণীবদ্ধ জল্লাদের , এক জীবন্ত বিজ্ঞাপন ।

অকুতোভয় সভ্যতার চীর অভিলাষী এসব দেখেও দেখিনা ।

জনপদ উজাড় করতে আমরা তাই রেখে গেলাম সহস্র অর্বুদ কার্বন-পদ চিহ্ন আর অর্জিত তীব্র ধিক্কার,

আমাদেরই সন্তানের জন্যে এক ধোঁয়াটে ভবিষ্যৎ ।

অপরাহ্ন-২ – পার্থ মিশ্র

অপরাহ্ন-২

শীতের শহর এলোকেশী

ইচ্ছে করে বসতে পাশে,

শীতের শহর গুডের পিঠে

ইচ্ছে করে আঁচ পোয়াতে ।

 

আমার শরীর বেজায় ভেজা

আগুন তারে জ্জ্বালতে নারে,

তোমার তাপে ইচ্ছেতো তাই

শুধুই আমার মন সেঁকে নিই ।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com